মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়ছে সরকারি কর্মী মহলে। পুজোর আগে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে রীতিমতো হাঁসফাঁস দশা বঙ্গবাসীর। বহুবার আবেদন নিবেদন জানানো হলেও ডিএ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছে সরকার। এদিকে, হাল ছাড়ার পাত্র নন সরকারি কর্মীরা। বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করছেন তাঁরা। কিন্তু এতে কী আদৌ কোনোও লাভ হবে? ডিএ কি মিলবে পুজোর আগে? প্রশ্ন উঠছে সেখানেও। তবে এবার সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলা নিয়ে এক চিলতে বক্তব্য রেখেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি পুজোর আগে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিচ্ছে না, সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, “ডিএ মঞ্চ যাই বলুক না কেন সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তা নিয়ে এখন কিছু বলব না। সেটার সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।” এরপর বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, অন্য সকল রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের বিধায়করা কম বেতন পেতেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী সকল বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ কথাও মনে রাখা দরকার, সকল বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের জন্য কোনো আশার আলো দেখালেন না। বরং পুজোর আগে ডিএ মেলা যে কার্যতই কঠিন তা ফের একবার বুঝিয়ে দিল সরকার পক্ষ।
আরও পড়ুনঃ এবার মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা দেবে সরকার
ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি কর্মীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্মী দের কথা চিন্তা করেনা। বরং পুজোর আগে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধিকে বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করে। তবে, সরকারের ঘোষণার চাইতেও এখন সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সরকারি কর্মীরা। নভেম্বরে শীর্ষ আদালতে উঠবে ডিএ মামলা। সরকারি কর্মীদের আশা, রায় আসবে তাঁদের পক্ষেই।