অন্যান্য খবর

কোচিং ছাড়া নিজের চেস্টাতেই সাফল্যের শিখরে জঙ্গলমহলের যুবক! প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আজ দেশের অন্যতম অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় বিভিন্ন পরীক্ষায় ইতিমধ্যেই বড় সাফল্য পেয়েছেন জঙ্গলমহলের অনেক কৃতি ছাত্র-ছাত্রী। এবার সেই কৃতিদের তালিকায় নাম লেখালেন নয়াগ্রাম ব্লকের প্রত্যন্ত চাঁদাবিলা গ্রামের ছেলে মানস মাহাত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউপিএসসি আয়োজিত অ্যাসিস্ট্যান্ট জিওফিসিস্ট পদের পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত মেধা তালিকাতে ১৪ তম স্থান অর্জন করেছেন নয়াগ্রামের মানস। তার সাফল্যে খুশি সমগ্র ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সকল পশ্চিমবঙ্গবাসী। বিরাট এই সাফল্য অর্জনের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের সাফল্যের কাহিনী জানালেন তিনি।

২০০৮ সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর ২০১০ সালে ঝাড়গ্রাম বাণী তীর্থ হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঝাড়্গ্রাম রাজ কলেজে ফিজিক্স নিয়ে ভর্তি হন মানস মাহাত। ২০১৩ সালে স্নাতক পাশ করার পর খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন উচ্চশিক্ষার জন্য। এরপর ২০১৫ সালে নেট এবং সেট পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হন। এরপর গ্রামে ফিরে এসে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন মানস। মানসের বাবা চুনারাম মাহাত, এবং মা গন্ধেশ্বরী মাহাত। বাবা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরে ফুড সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন।

নিজের চেস্টাতেই সাফল্যের শিখরে

আরও পড়ুনঃ বাবার চায়ের দোকান থেকে দিল্লির আইএএস অফিসার হিমাংশু

এদিন মানস মাহাত জানালেন, বাড়িতেই প্রচুর বই আছে তার। সেই সব বই পড়েই চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। এই প্রস্তুতির জন্য কোন প্রথাগত প্রশিক্ষণ অর্থাৎ কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করেননি। শুধুমাত্র বই পড়ে এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে পড়াশোনা করে অ্যাসিস্ট্যান্ট জিওফিজিসিস্ট পদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে তার আক্ষেপ মাত্র দু’নম্বরের জন্য তিনি জিওসায়েন্টিস্ট পদে নিযুক্ত হতে পারলেন না। জিওফিজিক্স -এর কোন পেপার তিনি গতানুগতিকভাবে পড়াশোনা করেননি। বিষয়টি ভালো লাগায় তিনি বই কিনে এই চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। ২০২৩ সালে কলকাতায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ইউপিএসসি ভবনে ইন্টারভিউ দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশের পর আনন্দে মেতেছে তার গোটা পরিবার।

নিজের চেস্টাতেই সাফল্যের শিখরে

Related Articles