পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় ছিল তৃণমূল জমানায় হওয়া রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) বাতিলের রায়। এই রায়দান রীতিমতো উদ্বেগের হয়ে উঠেছিল অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের কাছে। একই সাথে রাজ্য সরকারের কাছেও ছিল এটা একটা বড় ধাক্কা। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় মানতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে ওবিসি বাতিল এই মামলা আর শুনবেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এখনও অবধি সুপ্রিম কোর্ট এই রায় কোন স্থগিতাদেশ দেয়নি, যে কারণে ওবিসি সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও সেই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারছেন না রাজ্যের বৃহত্তর অংশের মানুষ। এমনকি ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত এই মামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত চাকরিক্ষেত্রে শূন্যপদ পূরন সম্ভব নয় বলেও আন্দোলনকারীদের জানান রাজ্য সরকার। এরইমধ্যে গত ২২শে অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু, সেদিন এই মামলার শুনানি হয়নি। এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় এক মাস। এই সময় শোনা যায় যে সুপ্রিম কোর্টে বর্তমান প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আর এই মামলা উঠবে না কারণ আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে এই মামলা কোর্টে উঠবে আর ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) অবসর নিচ্ছেন, তাই সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে এই মামলা নতুন করে শুনানি হবে। সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এই মামলা শোনা হতে পারে।
ওবিসি কাস্ট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রামে যুক্ত হন 👇👇
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গের সেরা ১০ টি চাকরির খবর
উল্লেখ্য, সিডিউল কাস্ট (SC) ও সিডিউল ট্রাইব (ST) -এর তুলনায় ওবিসি সার্টিফিকেট প্রাপ্ত নাগরিকরা কম সুবিধা পেলেও জেনারেল ক্যাটাগরির তুলনায় তারা শিক্ষা থেকে চাকরি ক্ষেত্রে কিছু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ওবিসিদের সংরক্ষণ রয়েছে ১৭ শতাংশ। যদিও হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, এই রায়ে ইতিমধ্যেই ওবিসি সার্টিফিকেটের দ্বারা যারা চাকরি পেয়েছেন এবং যারা চাকরির প্যানেলের মধ্যে রয়েছেন তাদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না কিন্তু পরবর্তীতে এই সার্টিফিকেট কাজে লাগিয়ে আর কেউ কোনও সুবিধা পাবেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাই এই রায় নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন ওবিসি সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গবাসী।