দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন অথচ নিয়োগ না হওয়ায় আশাহত হচ্ছিলেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে কম নেই। বারংবার নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বহু চাকরিপ্রার্থী। হয়েছে আন্দোলন, বিক্ষোভ, মিছিল। সমবেত কন্ঠস্বরে ‘নিয়োগ চাই’ দাবি তোলেন তাঁরা। তবে এবার স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে তাঁদের। প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগ দিতে চলেছে রাজ্য। দ্রুত গৃহীত হবে নিয়োগ কর্মসূচি।
সোমবার ছিল মন্ত্রীসভার বৈঠক। নবান্নে আয়োজন হওয়া এই বৈঠকে অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই বৈঠক শেষে খুশির খবর এল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। অনেকদিন ধরেই কলকাতা পুলিশের নিয়োগ কর্মসূচি মন্ত্রীসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। জট চলতে থাকায় নিয়োগ পাচ্ছিলেন না প্রার্থীরা। তবে এদিনের বৈঠকের পর সেই অপেক্ষার অবসান হল। সোমবারের বৈঠকে প্রায় ২৫০০ শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, কলকাতা পুলিশের এই নিয়োগ কর্মসূচি পরিচালনা করবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।
চাকরির খবরঃ বর্তমানে যেসব চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে
বিপুল সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণায় খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও, ৫৪৬৮ জন কমিউনিটি অফিসার নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে সরকারি পদে নিয়োগ ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, দার্জিলিংয়ের নিউ চামতা চা বাগানের ১৯ একর জমিতে চা পর্যটনের সিদ্ধান্ত ও মালদার গাজলে ২৮.১৫ একর জমি ইথানল কারখানার জন্য বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর দায়িত্বভার সামলাবে এক বেসরকারি সংস্থা।