রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর্ব। এবার রাজ্যে জুড়ে বেজে উঠবে ভোট প্রচারের দামামা। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সঙ্গেই রাজ্যের বিক্ষিপ্ত জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি। তাই নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল। এসবের মাঝেই এবার খুশির খবর শোনালো রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৯ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের কথা জানালো নবান্ন। এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন দপ্তরের কত শূন্যপদে কীভাবে হবে নিয়োগ, জানার জন্য বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদন।
আগামী ৮ জুলাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বঙ্গে। ভোটের আগে ও ভোটের দিন নিরাপত্তা প্রদান সহ একাধিক কাজে প্রয়োজন কন্সটেবলদের। এদিকে রাজ্য পুলিশে পড়ে থাকা একাধিক শূন্যপদের হিসেব বলছে ভোট করাতে যত সংখ্যক পুলিশ দরকার, পশ্চিমবঙ্গে তত পুলিশকর্মী নেই। তাই ভোটের আগেই সুখবর এল রাজ্যের তরফে। অতি শীঘ্রই প্রচুর শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের দুগ্দ্ধ উৎপাদন সমিতিতে কর্মী নিয়োগ
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। যার মধ্যে প্রায় ৮৬২৪ শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বাছা হয়ে গিয়েছে প্রার্থী। প্রথম ধাপগুলি পার করে প্রার্থীদের বাকি কেবল শারীরিক পরীক্ষা। সংশ্লিষ্ট পর্যায়টি উত্তীর্ণ হলেই নিয়োগ পাবেন তাঁরা। শারীরিক পরীক্ষার পর্বটি অতি শীঘ্রই মেটাতে চাইছে রাজ্য। সেই অনুযায়ী ভবানী ভবনের নির্দেশ পৌঁছেছে জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা স্থগিত
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই অশান্তির আবহ রাজ্যে। মনোনয়ন জমা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্যের পরিস্থিতি। কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্টের নির্দেশ, গোটা রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে হবে রাজ্যকে।