শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে জটিলতার শেষ নেই। রেজাল্ট বেরোনোর পর বহুদিন পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ নিয়ে বার্তা মিলছে না সরকার তরফে। এর দরুণ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ। তবে এরইমধ্যে ফের সুখবর দিল রাজ্য সরকার। শিক্ষক পদে নিয়োগের একগুচ্ছ নতুন শূন্যপদ প্রকাশ হল। পরিসংখ্যান বলছে নতুন ৫৯০ টি শূন্যপদে নিয়োগ পাবেন যুবক-যুবতীরা। নতুন বছর পড়তেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশ্বাস মিলছে।
শুক্রবার কার্শিয়াংয়ের সরকারি মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জন্য পৃথকভাবে স্কুল বোর্ড গঠন করা হবে। শুধু তাই নয়, এর জন্য অ্যাডহক কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পাহাড়ের জন্য রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ফর হিলস গঠন করা হবে। এই কমিশন পাহাড়ে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাবে। এর মধ্যে পড়ছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের ১৪৬টি প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্কুল। স্কুলগুলিতে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ৫৯০টি। এই শূন্যপদগুলির পূরণে অগ্রণী ভূমিকা নেবে নবগঠিত কমিশন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের মহিলাদের এবার থেকে পেনশন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
গত শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মোট ৫৯ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গে ২৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, ব্যাবসায় আগ্রহী ২ লক্ষ পাহাড়বাসীর জন্য ৫ লাখের ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে মমতা সরকার। এতদিন জিটিএ-এর অভিযোগ ছিল ২০০৩ সালের পর থেকে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগের বছর নতুন একগুচ্ছ শিক্ষক পদের প্রকাশ পাহাড়বাসীর মনে কর্মসংস্থানের আশা জাগালো বলেই মনে করা হচ্ছে।