রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা অব্যহত। প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক সমস্ত ক্ষেত্রেই এক পরিস্থিতি। আদালতে মামলা বিচারাধীন আর দিন কে দিন পিছিয়ে যাচ্ছে তার শুনানি। যার ফলে আটকে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। অপেক্ষায় দিন গুনছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ যেন তাঁদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা! সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ফের পিছিয়ে গেল প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার শুনানি। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও নয়া নির্দেশ অনুসারে মামলার শুনানি হবে আগামী ১২ জুলাই।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ ও ২০২০ সালে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। ঘোষিত মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৬৫০০টি। এদিকে তাতে নিয়োগ হয়েছিল মোট ১২ হাজার পদে। বাকি থেকে যায় ৩২২৯টি পদের নিয়োগ। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। একক বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন টেট উত্তীর্ণদের একাংশ এবং পর্ষদ। তবে ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দেয়। এবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ জীবনভর বৈধ উচ্চ প্রাথমিকের টেট পাশ
মামলাটি শুনে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয় গতমাসে। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বুধবার। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকের ৩৯২৯ জনের নিয়োগ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। শুনানি হবে ১২ জুলাই, পাশাপাশি প্রাথমিকের মূল নিয়োগ মামলার সঙ্গে এই মামলাটিও জুড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।