রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ হয়েই চলেছে। বিক্ষোভ, অবস্থান, ধর্ণা বা মিছিল- এ সব এখন কলকাতা শহরের প্রায় প্রতিদিনের ছবি। দুর্নীতির কাছেও হার মানছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট এবার প্রাথমিক টেট ২০১৪ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। এতে ২৬৯ জন কে চাকরি থেকে বরখাস্ত-এর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই এক নোটিশ জারি করেছে যেখানে বলা হয়েছে, চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে প্রার্থীদের বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং কথা বলতে জানতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ৮ জন চাকরিপ্রার্থীকে বাতিল করল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। যেসব চাকরিপ্রার্থীদের মাতৃভাষা নেপালি তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকে টেনেটুনে পাশ, এখন তিনি ডিসক্ট্রি মেজিস্ট্রেট
গত ১৪ জুন মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২০১৯ পিএসসি ক্লার্কশিপ এর জন্য যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল মোট শূন্যপদ ছিল ৭২২৭ । ৩০৪ জন কম্পিউটার টাইপিং টেস্টে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। আর অন্যদিকে বেঙ্গলি এফিশিয়েন্সি টেস্টে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৮ জন। এই পরীক্ষা মূলত বাংলা ভাষা বা স্থানীয় ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটি বৈঠকে ঘোষণা করেছেন যে রাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে বাংলা জানা বাধ্যতামূলক। শুধু বাংলায় নয় এমনকি স্থানীয় ভাষায় তাদেরকে অবগত থাকতে হবে। তবেই এই রাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোন পরীক্ষায় ১০০ নাম্বারের একটি অতিরিক্ত বাংলা বিষয় যুক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এই উদ্যোগকে রাজ্যের শিক্ষা মহলও সাধুবাদ জানিয়েছে।