হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকা প্রাথমিকের ৩২ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল হবে। আগামী চার মাস তাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। তবে পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে। আর এবার সেই চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলো ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। ততদিন পর্যন্ত এই সকল শিক্ষকেরা আগের মতো চাকরি করবেন ও বেতন পাবেন। এর ফলে কিছুটা স্বস্তিতে চাকরি বাতিলের নির্দেশ পাওয়া ৩২ হাজার শিক্ষক। তবে, ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের প্রথম রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও দ্বিতীয় রায়ে কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মাফিক।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিল পর্ষদ
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য সকল প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকা ৩২ হাজার প্রার্থীরা প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ ইন্টারভিউতে অংশ নিতে পারবেন। তবে তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকরি পেতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতি এও নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে।