গ্রীষ্মের দহনজ্বালা কমেনি এতটুকুও। তবে, প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটির শেষে এদিন বৃস্পতিবার খুলে গেছে রাজ্যের সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। যদিও গরমের দাপটে প্রথম দিন বহু স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেশ কম ছিল।
তা সত্ত্বেও শিক্ষামহলের একাংশ চাইছেন না, ফের বন্ধ হোক স্কুল। বরং তাঁদের প্রস্তাব, বর্ষা আসার আগে পর্যন্ত সকালে চলুক পঠনপাঠন। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, গত দেড় মাস স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়ার মধ্যেই লেখাপড়ায় অনেকটা ঘাটতি হয়েছে, ফলত পুরোপুরি ছুটি পড়ে গেলে পড়ুয়াদের অনেক ক্ষতি হবে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। প্রায় প্রতিটি জেলাতেই বাড়বে গরম। এই পরিস্থিতিতে অভিবাবকদের একাংশ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। অনেকেই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না নিজেদের সন্তানদের।
আরও পড়ুনঃ কবে থেকে মর্নিং স্কুল হবে রাজ্যে?
তবে আবারও গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে রিভিউ মিটিং করবে শিক্ষা দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আগামী সোমবারের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ছুটি নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্বান্ত নিতে চাইছেনা শিক্ষা দপ্তর। আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি দেখে সোমবার এই বিষয়ে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে বলে খবর শিক্ষাদপ্তর সূত্রে।