শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য নির্বাচিত শিক্ষক-শিক্ষিকার হাতে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার তুলে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনেক শিক্ষক- শিক্ষিকারা এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য হলেও, পুরস্কার প্রাপকের নাম খোদ রাজ্য সরকার নির্বাচন করতো। তাই কে কে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাবেন তা সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান নিয়ে নতুন নিয়ম অন্য রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে পৌছে গিয়েছে নির্দেশিকা।
শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘শিক্ষারত্ন’ পাওয়ার জন্য এবার নিজেরাই আবেদন জানাতে পারবেন শিক্ষকেরা। অনলাইনের মাধ্যমে জমা করা যাবে আবেদন। ‘শিক্ষারত্নের’ আবেদন জানানোর জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন। সমস্ত আবেদন জমা পড়ে গেলে তা খতিয়ে দেখবে বিকাশ ভবন। এছাড়া যদি আবেদনপত্র দপ্তরে জমা পড়ে, তবে তার স্ক্রিনিং হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে। মোট ৭১ জন প্রাথমিক শিক্ষক ও ৮২ জন মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষককে সন্মান দেওয়া হবে। ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রার্থী বাছাই করবে রাজ্য সরকার তরফে গঠিত একটি কমিটি। যার নেতৃত্বে থাকবেন যুগ্ম অধিকর্তা চিন্ময়ী পট্টনায়ক।
আরও পড়ুনঃ লক্ষাধিক টাকা বেতন পাবেন শিক্ষকরা
প্রসঙ্গত, ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার সম্পর্কিত রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। উঠছে নানান রাজনৈতিক তরজাও। তবে অনেকে মনে করছেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শিক্ষকরা নিজেরাই আবেদন জানাতে পারবেন। আলাদা করে বাছাই প্রক্রিয়া হবে না। আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে থাকা নির্বাচিতদের হাতে সন্মান তুলে দেবে রাজ্য।