রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে। বেশ কিছু মামলার শুনানি এখনো চলছে। প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, পৌরসভা নিয়োগ সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের দপ্তর গুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বহুকাল থেকে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে পূর্ববর্তী এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানি চলছিল প্রায় তিন মাস ধরে। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি শেষ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রায় সাড়ে তিন মাস সময় ধরে হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রিসিদির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এই মামলার মূল পর্বের শুনানি শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি এই মামলার অন্তিম পর্যায়ের শুনানি শেষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধিকাংশ নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূত। বিধিবদ্ধ সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে মোবাইল নিয়ে যেতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। এখানে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শূন্য পদের থেকেও বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্রশাসনিক স্তরে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে যে পরিমাণ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীরা অবৈধ নিয়োগ পেয়েছেন সেই টাকা উদ্ধারেরও পরিকল্পনা করা উচিত। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার প্রবণতা কমানো যাবে না। তবে মামলার শুনানি ইতিমধ্যে শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীরা মনে করছেন এই মামলার রায় ঘোষণা হলে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের রাস্তা খুলে যাবে তাঁদের জন্য।