সম্প্রতি শুক্রবার নবান্নে বৈঠকের ডাক দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, এ রাজ্যে ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে যে সরকারি পরিষেবাগুলি দেওয়া হয় সে বিষয়ে আলোচনা। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যসচিব নিজেই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। এদিন বৈঠক চলাকালীন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে কেন অতিরিক্ত সুদ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। একইসাথে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ছাত্রছাত্রীদের লোন দেওয়ার গতিও যে বর্তমানে মন্থর হয়েছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড
শুক্রবার নবান্নে বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেখানে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে যে সরকারি স্কিমগুলি পরিচালিত হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে অভিযোগ আসে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি বেশি সুদ নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৪ শতাংশ সুদ নেওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, ব্যাঙ্কগুলি সেই সুদের হার বাড়িয়ে করেছে ৯ শতাংশ। কিন্তু কেন এ ধরনের কার্যক্রম ব্যাঙ্কগুলির? প্রশ্নের মুখে ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা। এছাড়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের লোন দেওয়ার গতি যে মন্থর হয়েছে সে বিষয়েও অভিযোগ তোলেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার পড়ুয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন। তবে অভিযোগ উঠছে বর্তমানে প্রায় ৪১ হাজার পড়ুয়ার আবেদন ব্যাঙ্কগুলির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিন সমস্ত অভিযোগ পর্যালোচনার মাধ্যমে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন মুখ্যসচিব। এছাড়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর আবেদন বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, তা আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি।
এছাড়া রাজ্যে যে যে সরকারি স্কিমগুলির সুবিধা ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে দেওয়া হয়, সে বিষয়েও আলোচনা করেন মুখ্যসচিব। এক্ষেত্রে পরিষেবা দিতে দেরি কেন হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের বৈঠকে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে যাতে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা রাজ্যের সকল পড়ুয়াদের কাছে সঠিকভাবে পৌছতে পারে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে।