কয়েক সপ্তাহ আগেই তীব্র দাবদাহের কারণে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের কারণেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর সহ প্রাথমিক এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে ছুটির কথা ঘোষণা করেছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলছে। পূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই গরমের ছুটি সম্পূর্ণ মে মাস ধরে চলার কথা।
তবে বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের অবসান ঘটিয়ে বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায়। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেছে। গরমে হাঁসফাঁস করার মত পরিস্থিতি আর নেই। সেই বিষয়টিকে এই মাথায় রেখে এবার রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি রেস্ট্রিকশন করার ব্যাপারে মতামত দিয়েছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতি। উল্লেখিত এই দুটি শিক্ষক সংগঠনের দাবি হল, যেহেতু গরমের অস্বস্তি কিছুটা কমেছে তাই এক দফায় এত লম্বা ছুটি না দিয়ে বর্তমানে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পরবর্তীতে তাপপ্রবাহ বাড়লে পুনরায় স্কুলে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হবে জুন মাসে
এই বিষয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার জানিয়েছেন, ঝড় বৃষ্টির জেরে গরম অনেকটাই কমে গেছে তাই আপাতত স্কুল খুলে দেওয়া যায়। ফের যদি মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ে সে ক্ষেত্রে পুনরায় স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশ মিশ্র বলেন, এবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠক্রম এবং পঠন পাঠন পদ্ধতি বদল করা হয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে পঠন-পাঠনে অভ্যস্ত হতে যথেষ্ট সময় লাগবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকলে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। তাই আগামী ৩ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাতিল করে বর্তমানে স্কুল খোলার আহ্বান জানিয়েছে এই দুটি শিক্ষক সংগঠন।