পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা অব্যাহত। চাকরির অভাবে অসন্তোষ বাড়ছে প্রার্থীদের মধ্যে। লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভের মাঝে চাকরিপ্রার্থীদের স্লোগান “নিয়োগ চাই, নিয়োগ দাও।” তবু এত প্রতিবাদ কর্মসূচির পরেও সদুত্তর দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বারংবার নানান জটে থমকে যাচ্ছে নিয়োগ। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে এল।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাইমারি টেট আয়োজন হবে বছর বছর। গত বছরের টেটের পর এ বছরেও আয়োজিত হতে চলেছে টেট। প্রতি বছর পরীক্ষার পর ফলপ্রকাশ হলেও নিয়োগ নিয়ে আশার আলো দেখছেন না প্রার্থীরা। যেমন, ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন ২০২১ সালে। পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়ে শেষ হয়েছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চাকরিপ্রার্থীদের ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে বিবৃতি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে বক্তব্য, আইনি জটের কারণে সমস্যা হচ্ছে নিয়োগে। জট না কাটলে ২০১৭ টেটের চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পাবেন না।
আরও পড়ুনঃ এগিয়ে এলো চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা
কেবল ২০১৭ সালের টেট (TET) প্রার্থীরা নন। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রায় দেড় লক্ষ প্রার্থীও এখনও নিয়োগের আশায় দিন গুনছেন। বছর বছর চাকরির আশায় অপেক্ষারত রাজ্যের লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী এখন আঙুল তুলছেন পর্ষদের দিকেই। তাঁদের কথায়, পর্ষদ যদি উদ্যোগী হত তবে অবশ্যই জট খুলতে বাধ্য। এখন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে কবে নিয়োগ মিলবে, তা এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা।