এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শুক্রবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পৃথক দুটি অর্থপাচারের তদন্তের অংশ হিসেবে এখনো পর্যন্ত মোট ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত একজন মধ্যসত্তভোগীর কাজ থেকে ২৩০ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে এবং যার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই আইনের আওতায় প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং প্রসন্ন কুমার রায়ের নামে থাকা জমির দলিল এবং ফ্যাট সংযুক্ত করা হয়েছে। এই দুজনকেই ইডি গ্রেফতার করেছিল এবং বর্তমানে তারা বিচার বিভাগীয় হেফাজতের অধীনে কারাগারে বন্দি আছেন। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় এখনো পর্যন্ত মোট ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের যে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুই দুর্নীতি মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত মোট ৩৬৫.৬০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
চাকরির খবরঃ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সুপারভাইজার নিয়োগ
এই বিপুল পরিমাণ অর্থও পাচারের মামলাটি সিবিআই এর একটি এফআইআর এ উল্লেখ করা হয়েছে যা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থী, মেধাতালিকা বহির্ভূত প্রার্থী, মেধাতালিকায় নিম্নস্থানে থাকা প্রার্থীদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। ইডি আরও জানিয়েছে যে, মামলায় দাখিল করা চার্জশিটের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, মোট ২০৮১ টি শূন্যপদে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের দ্বারা সহকারী শিক্ষক পদের জন্য বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।