ঘোষণা হচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছেনা। আবার পরীক্ষা হলেও প্রকাশ পাচ্ছেনা মেধাতালিকা। এই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। একাধিক সরকারি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই সমস্যায় ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় এক বছর আগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০২২ সালের ৫ই মে তারিখে প্রকাশ পেয়েছিল বিজ্ঞপ্তিটি। সেখানে জানানো হয়েছিল, অতি শীঘ্রই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ পাবে। এরপর বছর পেরিয়েছে। অথচ দেখা মেলেনি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোথায় হচ্ছে নিয়োগ? একটি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও নজরে পড়েনি তাঁদের। নিউ এসএসসি-এসএলএসটি, গ্রুপ সি/ডি একতা মঞ্চের দাবি, রাজ্যের প্রায় দশ লক্ষ স্নাতকোত্তর পাশ ও বিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অপেক্ষা করছে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেখার জন্য। কিন্তু কোথায় কী! এদিকে শিক্ষক অভাবে ভুগছে রাজ্যের বহু বিদ্যালয়। যেখানে বিষয় বিশেষে শিক্ষক তো দূর মোট শিক্ষকের সংখ্যাও কার্যত চোখে পড়ার মতো। কোথাও তো দুই থেকে তিন জন শিক্ষক মিলেই সামলাচ্ছেন গোটা বিদ্যালয়। এহেন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের নিয়োগ দিলেই উভয় সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ আর টিউশন পড়াতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা
রাজ্যে সর্বশেষ স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৭ শে নভেম্বর ও ৪ ডিসেম্বর। তারপর থেকে আর এই পরীক্ষার দেখা নেই। পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় সোয়া ছয় বছর। রাজ্যের স্কুলগুলিতে হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ। এদিকে নিয়োগের দাবিতে ধর্ণা, আন্দোলন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতির প্রতিকার কবে? উত্তরের আশায় চাকরিপ্রার্থীরা।