কমছে রাজ্যের স্কুলগুলির ছুটির সংখ্যা। দুর্গাপুজোয় আর একটানা ছুটি পাবেন না স্কুল পড়ুয়ারা। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত জানাল পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এবার থেকে পুজোর মরশুমে আর লম্বা ছুটি নয়। বদলে লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর মাঝের দিনগুলিতে স্কুল আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অতএব সার্বিক স্কুল ছুটির সংখ্যা কমছে সামনের বছর থেকেই।
বর্তমানে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৪৮ হাজারেরও বেশি। চলতি বছরের ছুটির ক্যালেন্ডার বলছে, দুর্গাপুজোয় মোট ২৩ দিনের ছুটি মিলেছিল স্কুল পড়ুয়াদের। কিন্তু আগামী বছর থেকে এই ছুটি কমছে বলেই পর্ষদের তরফে আভাস। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত ছুটি থাকবে ১১ দিন। কালীপুজো ও ভাইফোঁটার ছুটি থাকবে চারদিনের। সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত একটা লম্বা ছুটি চলতো স্কুলগুলিতে। তবে এবার থেকে সেই ছুটির মাঝেই বেশ কিছু দিন স্কুলের ক্লাস চলবে বলে জানান গৌতম পাল। নয়া সিদ্ধান্ত মতো, দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোর ছুটি এবার ১১ দিন থাকছে। আর দীপাবলির ছুটি থাকছে চারদিনের। পুজোর ছুটি চলবে ৭ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত। ১৮ অক্টোবরের পর আবার স্কুল খুলবে। বেশ কিছু দিন ক্লাস হলে পর ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর দীপাবলি ও ভাইফোঁটার ছুটি পাবেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জারি হচ্ছে নতুন নিয়ম
পর্ষদ সভাপতি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর জন্য একটানা ছুটি চললে তাতে ক্ষতি হচ্ছে পঠন পাঠনে। এখনও গ্রামাঞ্চলের বা অনেক এলাকারই পড়ুয়ারা স্কুলের পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে এত দিনের ছুটিতে বাড়িতে বসে থাকার চেয়ে আমরা চাইছি যে তাঁরা স্কুলে আসুক। লেখাপড়া করুক ও আনন্দ করুক। পর্ষদের নয়া সিদ্ধান্তে বিশেষজ্ঞদের মত, এতে কিছুটা হলেও উপকার হবে পড়ুয়াদের। কারণ উৎসবের মরশুম কাটলেই আসে অ্যানুয়াল এক্সাম। তাই ছুটির মাঝে কিছুদিন ক্লাস করলে আদতে উপকার পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।