রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জল গড়িয়েছে বিভিন্ন স্তরে। কখনও সরাসরি তো কখনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বেআইনি পথে চাকরি বিক্রির অভিযোগ ওঠে। চাকরিপ্রার্থীদের ফোনে ডেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল আগেই। সম্প্রতি আদালতে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতির নির্দেশ, ফোন নম্বরের আড়ালে থাকা ব্যক্তিকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৪৬ জন শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বুধবার। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ১৪০ জন প্রার্থীর চাকরি। এদিন মামলা চলাকালীন চাকরি বাতিল হওয়া এক প্রার্থীর বয়ানে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে যেখানে তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানানো হয়েছিল। এ প্রসঙ্গ সামনে আসায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ফোন নম্বরের আড়ালে থাকা ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় সিবিআইকে।
চাকরির খবরঃ হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে কর্মী নিয়োগ
সূত্রের খবর, এদিন আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বরের আড়ালে থাকা ব্যক্তি নদিয়ার অধিবাসী এক আধিকারিক। যদিও তিনি অপসারিত বর্তমানে। তবে তিনি পর্ষদের কোনও আধিকারিক নন। আবার, সিবিআই এর তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান রহস্যজনক ফোন নম্বরের মালিক হতে পারেন নদীয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। তবে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের এই ফোন নম্বরের আড়ালে থাকা ব্যক্তিকে যত শীঘ্র সম্ভব জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের মামলায় আরও ৫৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। এই নিয়ে মোট ২৫২ জনকে চাকরি থেকে অপসারিত করা হলো উচ্চ আদালতের তরফে।