২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। ১৭৫ জন পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তবে এই মামলার রায়দানে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সকল পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত। ততদিন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে রায়দান।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা চলছে বহুদিন ধরেই। সে বছরের টেটে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। এদিকে, ২০১৪ টেট পরীক্ষার্থীদের তরফে অভিযোগ ওঠে, টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মোট ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এহেন অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ১৭৫ জন পরীক্ষার্থী। পরে তাঁদের সাথে যুক্ত হন আরও কিছু জন। এরপরই এ বিষয়ে শুরু হয় তদন্ত। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু বিষয়টি থেমে থাকেনি এখানেই! এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চের।
চাকরির খবরঃ বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনে নিয়োগ
পরবর্তীতে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি রাখেন, টেটের ভুল প্রশ্নের জবাব দেওয়া সকল প্রার্থীকেই নম্বর দেওয়া হোক। তবে সেই দাবি মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সংশ্লিষ্ট মামলাটি এখনও বিচারাধীন আদালতে। বৃদ্ধি পেয়েছে মামলাকারীর সংখ্যাও। সম্প্রতি শেষ হয়েছে এই মামলার শুনানি। তবে ইতিমধ্যে বিচারপতিদের সিদ্ধান্ত, আগে সকল পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। আগামী দশ দিনের মধ্যে এই বক্তব্য শুনবে আদালত। তারপর বিষয়টির পর্যালোচনা করে রায়দান করবেন বিচারপতিরা। এমনটাই জানা যাচ্ছে আদালতের তরফে।