শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির জটিলতায় বিদ্ধ রাজ্য সরকার। ফাঁকা ওএমআর শিটে পরীক্ষা পাশ থেকে টাকার বিনিময়ে ভর্তি! দুর্নীতির একাধিক নিদর্শনের সাক্ষী রাজ্যবাসী। গত ২৮শে ডিসেম্বর ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই উঠছে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়লো আগামী ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত।
রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার কোর্স হলো এই ডি.এল.এড। দুই বছরের সময়কালে মোট চারটি সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয় এই কোর্সে। ডি.এল.এড কোর্স সম্পন্ন করতে প্রয়োজন হয় মোট ৪০০টি কর্মদিবসের। সম্প্রতি ২৮শে ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে জানানো হয়েছিল, আগ্রহী প্রার্থীরা ২রা জানুয়ারি থেকে ৬ই জানুয়ারির মধ্যে ডি.এল.এড কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া কিভাবে ২০২৩-এর জানুয়ারিতে হওয়া সম্ভব? আর ভর্তি নেওয়া হলেও কোর্স সম্পূর্ণ করতে ৪০০টি কর্মদিবস মিলবে কিভাবে! এছাড়া অভিযোগ ওঠে, অতিরিক্ত আবেদনমূল্য নেওয়া হচ্ছে ডি.এল.এড এর ভর্তি প্রক্রিয়ায়।
আরও পড়ুনঃ খড়গপুর আইআইটি-তে ভর্তি ছাড়াই পড়ার সুযোগ দিল প্রতিষ্ঠান!
এরপরেই সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয় আদালতে। হাইকোর্ট ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি ছিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় আগামী ১৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো।